লালমনিরহাটের আদিতমারীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী মোঃ নুরজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর পূর্বে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের শালামারা গ্রামের মোঃ আনছার আলী ওরফে গামছা পাগলার পুত্র নুরজ্জামানের সাথে একই গ্রামের সুরুজ আলীর কন্যা মোছাঃ রহিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
কিন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ ড্রেনে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে ড্রেন থেকে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর রহিমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদিতমারী থানায় রহিমা খাতুনের পিতা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
স্বাক্ষীদের স্বাক্ষগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন । বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আকমল হোসেন বলেন, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।